জীবিকা অর্জনের উপায় হিসাবে ব্যবসায়

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা - ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র | NCTB BOOK

কোনো বিশেষ বিদ্যায় বৃত্তিমূলক জ্ঞান আহরণ করে পারদর্শিতা ও দক্ষতা অর্জনের পর বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ ও ব্যবহারের দ্বারা জীবিকা নির্বাহের প্রচেষ্টাকে পেশা বলে । কোনো মানুষ তার জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য কোনো কাজকে অবলম্বন করলে সেটা পেশা হিসেবে গণ্য হয়। এ দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যবসায়কে পেশা বা জীবিকা অর্জনের উপায় বলতে পারি । কারণ একজন ব্যক্তি ব্যবসায় করে তার ব্যক্তিগত বা পারিবারিক অভাবসমূহ পূরণ করছে। ব্যবসায় মানুষের জীবিকা অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায়। যেকোনো ব্যক্তি তার স্বল্প বা বেশি মূলধন নিয়ে সহজেই ব্যবসায় করতে পারে । তাই অনেকে ব্যবসায়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে।

ব্যবসায়ের মাধ্যমে মানুষ তার জীবনকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কেউ যদি চাকরি করে তবে সে নির্দিষ্ট বেতন পায়। সেক্ষেত্রে তার চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা সীমিত হয়ে থাকে। কিন্তু কেউ যদি ব্যবসায় সঠিকভাবে করতে পারে তবে সে চাকরির চেয়ে অনেক বেশি উপার্জন করতে পারবে। এখানে তার উপার্জন সীমিত থাকে না। ব্যবসায় কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি দেশে যত বেশি ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ ঘটবে তত বেশি মানুষের কর্মের সংস্থান হবে।

ব্যবসায় হলো স্বাধীন পেশা বা বৃত্তি। একজন ব্যবসায়ী বৈধভাবে যেকোনো ব্যবসায়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারে, সেখান থেকে মুনাফা অর্জন করতে পারে, এজন্য কোনো জবাবদিহি কারও নিকট করতে হয় না । তাই স্বাধীন পেশা হিসেবে ব্যবসায়কে সবাই পছন্দ করে।

Content added By
Promotion